ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটা চালের বাজারে অস্থিরতা, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

মোটা চালের বাজারের অস্থিরতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে সরবরাহ ও দাম বাড়া নিয়ে সৃষ্ট সংকটের দায় নিচ্ছে না কোনো পক্ষই।

খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মিল থেকে মোটা চালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোকামগুলোতে সংকট তৈরি হয়েছে। আবার মিলাররা বলছেন ধানের সংকটের কথা। তারা বলেন, মোটা চালের ধান আবাদে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে চিকন ধানে ঝুঁকে পড়ায় চাহিদা অনুযায়ী ধানের সরবরাহ মিলছে না।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাসখানেক আগেও ৪৫ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যেত স্বর্ণা, গুটি, ব্রি-২৯, ব্রি-২৮, লতা, পাইজামসহ সাত থেকে আট ধরনের চাল। এর মধ্যে কয়েকটির দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকার মধ্যে। করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে বৃদ্ধি পেয়ে এই দামে এসেছিল চাল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও দাম না কমে উল্টো বাড়ছে। অনেক দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না মোটা চাল।

বিক্রেতারা জানান, একাধিক পাইকারি বাজার ঘুরে মোটা চাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। দামও আগের তুলনায় অনেক বেশি। তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার রাজধানীর বাবুবাজারে গুটি স্বর্ণার মতো মোটা চাল পাইকারিতে ৪৩ টাকা ও ব্রি-২৮ ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ১০ দিন আগেও স্বর্ণা পাইকারিতে ৪২ ও ব্রি-২৮ ৪৫ টাকা কেজি ছিল।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রনি বলেন, বর্তমানে মোটা চালের সরবরাহ কমে গেছে। বাজারে অনেকেই দু-একটির বেশি আইটেম আনতে পারছে না। মিলাররা বলছেন, এবার মোটা ধান উৎপাদন হয়েছে কম। তাই ধান সংকটে তারা চাহিদামতো চাল সরবরাহ করতে পারছেন না।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, বাজারে মোটা চালের ধানের সংকটেই চালের দাম বাড়ছে। মোটা চালে ভোক্তার আগ্রহ কমে যাওয়ায় চাষিরা এখন মোটা ধান কম আবাদ করছেন। সংকট দেখা দেওয়ায় বাসমতি, মিনিকেট, কাজল লতা ও স্বর্ণা ধানের দাম প্রতি মণে গড়ে ১০০ টাকা বেড়েছে। সে কারণে চালের দামও বেড়েছে।

নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, প্রতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ যে উৎপাদনের কথা বলে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। প্রকৃতপক্ষে মোটা ধান এখন আর আমাদের দেশের কৃষকরা তেমন উৎপাদন করেন না।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন