‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি বিজ্ঞানমনস্ক ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার ঘটাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর “দাবায়ে রাখতে পারবা না” উক্তি সকলের চিন্তা, মনন ও প্রেরণায় ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে অদম্য বাংলাদেশ, এটাই আজকের প্রত্যয়।
আজ (১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন লিখিত ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি আধুনিক ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। এছাড়া যে কোন সংকট উত্তরণ করে জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রেম সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে বিস্ময়কর অগ্রযাত্রায় দারিদ্রের হার হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটানো, জামানতবিহীন যুব ঋণের মাধ্যমে স্টার্টআপকে উৎসাহিত করে উদ্যোক্তা তৈরি করা, নারী ক্ষমতায়ন, সমুদ্রজয় থেকে শুরু করে সুনীল অর্থনীতির দ্বার উন্মোচন প্রতিটি ক্ষেত্রই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিনে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি তাকে উৎসর্গ করা যথার্থ হয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অদম্য বাংলাদেশের ভিত রচিত হয়েছিল জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সোনার বাংলা নির্মাণে নীতি, সংবিধান ও কর্মপরিকল্পনার কাজ করেছেন। তিনি বলেন, গ্রন্থটির নাম ‘অদম্য বাংলাদেশ’ অত্যন্ত যুগোপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।
‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা, সমসাময়িক সমস্যার উত্তরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অনলাইন শিক্ষা, গবেষণাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৃষ্টিকোনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস