হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। তবে হাঁপানি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। এই রোগ বংশগত হতে পারে। তবে সাধারণত ঠাণ্ডা্র সমস্যায় এ রোগ বাড়ে।
আসুন জেনে নেই হাঁপানির লক্ষণ-
কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বোধ হওয়া এবং সাঁ সাঁ শব্দে নিঃশ্বাস ফেলা। তবে কিছু ক্ষেত্রে কাশি ছাড়া অন্য লক্ষণগুলো থাকে না। বিশেষ করে কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে।
যেসব কারণে হাঁপানি হয়-
হাঁপানির কারণ এখনও পরিপূর্ণ বোঝা যায়নি। তবে বংশগত কারণ এবং পরিবেশের কারণে হাঁপানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরের ধুলো, বিছানার পোকা, কার্পেট, পুরনো আসবাবপত্র, দূষণ, অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া এবং রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ– এগুলোকে হাঁপানি রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়।
ভাইরাসের সংক্রমণ, ঠাণ্ডা হওয়া, প্রচণ্ড রাগ বা ভয় মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধে (অ্যাসপিরিন, পোপ্রানলল, ডাইক্লোফেনাক ও এসিক্লোফেনাকজাতীয় ওষুধ) হাঁপানির সমস্যাকে আরও বেড়ে যায়।
হাঁপানি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেক কারণ হলো নগরায়ণ। চিকিৎসা সংক্রান্ত ইতিহাস এবং পিএনটির (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট)/স্পাইরোমেট্রির সাহায্যে হাঁপানি নির্ণয় করা সম্ভব। হাঁপানির পরিপূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তবে যা করলে হাঁপানি বৃদ্ধি পায়, তা এড়িয়ে চলতে হবে। দৈনন্দিন হালকা ব্যায়াম (জগিং) করলে হাঁপানির উপসর্গগুলো কিছুটা কমে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে