ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক আইন ভাঙছে ব্রিটেন

আইন প্রণয়ন করে ব্রেক্সিট চুক্তির কিছু শর্ত ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের জোরালো সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

দেশটির সরকার সত্যি ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত ভেঙে অভ্যন্তরীণ আইন প্রণয়ন করলে তার পরিণাম যে মারাত্মক হতে পারে, এ সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন ইইউ নেতারা। বিশেষ করে উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি বিপন্ন করতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে বলে সতর্কবাণী দেওয়া যাচ্ছে।

পুরোপুরি বিচ্ছেদের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতির অভাব নিয়ে কোনো বিস্ময় ছিল না এতোদিন। আলোচনা বিফলের পর ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মেনে লেনদেন হবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল।

তবে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে মতবিরোধের পাশাপাশি স্বাক্ষরিত ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত খেলাপের আশঙ্কা করেনি কেউ। এবার সেই আশঙ্কাকেই সত্য প্রমাণ করে গত বুধবার ব্রিটেন এমন আইনের খসড়া পেশ করতে চলেছে, যে কারণে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে ব্রেক্সিট চুক্তির অংশবিশেষ বাতিল করা হতে পারে।

আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বলেন, গত বছরের ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত ভাঙা হলে রাজনৈতিক আস্থার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ অবস্থায় ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় ইইউ আরও কড়া অবস্থান নেবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি জানান, ব্রিটেন বোঝাপড়ার শর্ত ভাঙার কোনো চেষ্টা করলে তার মারাত্মক পরিণাম দেখা দিতে পারে।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে ‘নির্দিষ্ট ও সীমিত আকারে’ আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা হচ্ছে। তবে তার মতে, পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে অতীতেও এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

গত মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাটিক দলের সংসদ সদস্য ব্রেন্ডন বয়েল বলেন, এমন কোনো দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করা কঠিন হবে, যেদেশ সবে গুরুত্বপূর্ণ এক চুক্তির খেলাপ করেছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সরকারের আইন বিভাগের প্রধান জনাথন জোনস পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও বিরোধী লেবার পার্টির নেতারাও এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন