ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারোমাসি তরমুজ চাষে রানার চমক বগুড়ায়

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পুরো এলাকাই হচ্ছে কৃষি সমৃদ্ধ । এখানে ধান, শাকসবজি উৎপাদনে সাফল্যের পর নতুন করে যুক্ত হয়েছে তরমুজ চাষ। আর বারমাসি তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন উপজেলার আটমুল গ্রামের কাজী সবুর আলীর ছেলে কৃষক মোহাম্মদ রানা। দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তরমুজের চাষ করে বেশ ভালো সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল গ্রামের অল্পশিক্ষিত কৃষক রানা। নিজের সামান্য জমি চাষ করে তার সংসার ঠিকমতো চলছিল না। ঠিক তখন তিনি তার বন্ধুর পরামর্শে ৩৩ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করেন। এরইমধ্যে রানা তার ওই জমিতে ৫৭ দিন আগে জয়পুহাটের নিচিন্তা এলাকা থেকে এক হাজার ৪০০ চারা সংগ্রহ করে শুরু করেন তরমুজ চাষ।

বর্তমানে তার লাগানো চারাগুলো থেকে তিন রকমের তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে। তরমুজের জাতের নামগুলোও বেশ বাহারি। একটি জাতের নাম মধুমালা, অন্যটির নাম ডোরা বাংলালিংক এবং আরেকটার নাম ব্ল্যাকবেরি। মধুমালার ওপরের রং দেখতে অনেকটা মাল্টার মতো। ভেতরে রক্তের মতো লাল এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। ডোরা বাংলালিংক দেখতে সবুজ, ওপরে ডোরা কাটা দাগ আছে। কাটলে ভেতরের রং হলুদ মাল্টার মতো এবং ব্ল্যাকবেরি ওপরে দেখতে কালচে সবুজ। ভেতরে টকটকে লাল, খেতেও বেশ মজাদার।

জানা গেছে, তরমুজ লাগানোর ঠিক ৫৭ দিন পর থেকেই রানা ফল তুলতে শুরু করেছেন। তিনি তরমুজ বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। ৬৭ দিন পর্যন্ত তিনি এক লাখ ৪২ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। এখনও তার জমিতে যে পরিমাণ তরমুজ আছে, তাতে আরও এক লাখ টাকার বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষে খরচ করেছেন ৪০ হাজার টাকা। আর তার সাফল্য দেখে এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে জুকু মিয়া, করব উদ্দিনের ছেলে আবদুল হামিদসহ অনেকেই তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন