করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা। এরমধ্যে নানারকম কাঁচামালের দাম বাড়িয়ে আরও বেশি নাকাল করে ফেলছে ভোক্তাদের। গত বছরের ন্যায় এ বছরও শেষ দিকে এসে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে পেঁয়াজের দাম।
রাজধানীর খুচরা বাজারে সোমবার একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোক্তারা বলছেন, বিক্রেতারা সুযোগ পেলেই ভোক্তার পকেট কাটে। বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তারা নীরবে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। তাই গত বছরের মতো যাতে ভোক্তারা দুর্ভোগে না পড়ে সে বিষয়ে এখন থেকেই নজরদারি বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কাঁচামরিচের পোয়া ৯০ টাকা
বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে তা তদারকির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে শাস্তির আওতায় এনে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
তিনি বলেন, অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে রাজধানীসহ সারা দেশে পণ্যমূল্য যাতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেজন্য নিয়মিত বজার তদারকি করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজারমূল্য তালিকাতেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, রাজধানীর কাঁচাবাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজ ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মাসের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি দরে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস