মহামারি করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলা করে বোরো ধান গোলায় তুলেছে কৃষকেরা। বর্তমানে বোরো ধানের বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষক খুশি। তাই আবার আশায় বুক বেঁধে কৃষক মাঠে নেমেছে আমন ধানের চারা রোপন করতে। চারা রোপণ শেষে, এখন আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার সব কৃষকেরা। করোনা এবং বন্যার ফলে দেশে যেন খাদ্যের কোন সংকট সৃষ্টি না হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় কৃষকেরা আরও বেশি ফসল ফলাতে উদ্দ্যেমী হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ সরকারের এই আহবানে সাড়া দিয়ে কৃষকেরা যাতে অল্প জমিতে অধিক খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা সারাদিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ দিবস, কৃষক নোটিশ বোর্ড, কৃষক প্রশিক্ষণ এবং মোবাইলের মাধ্যমে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে নিয়ামতপুর উপজেলায় উফশী জাতের ২৫ হাজার ২ শত ৪০ হেক্টর, স্হানীয় জাতের ৪ হাজার ৪ শত ২০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫ হেক্টর।
উপজেলায় মোট ২৯ হাজার ৬ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউপির শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক রজব আলী জানান, এবার বোরো ধানের ফলন ভালো এবং তুলনামূলক গত বছরের চেয়ে মূল্য একটু বেশি থাকায় আমন আবাদে ঝুঁকছে কৃষকেরা। আমন ধানের চারা রোপণ করার পর এখন জমিতে আগাছা পরিষ্কার সহ জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে ব্যস্ত কৃষক সমাজ।
তবে প্রতি বছরের চেয়ে এবার আমন ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ একটু বেশি। তিনি আরও জানান, মাজরা পোকা দমনের জন্য মোবাইল ফোন ও মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,গতবছরের চেয়ে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো ও দাম সন্তোষজনক থাকায়।কৃষকেরা সেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে আমন ধানের চারা রোপন শেষে এখন ধানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আমন ধানের মাঠ পরিদর্শন করে এবং মুঠো ফোনের মাধ্যমে কৃষকের পাশে থেকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের সেবা প্রদানের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ জন করে কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এম আই