ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আড়াই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

৩০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেল বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও’এ আইসিটি টাওয়ারের মিলনায়তনে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মানুষের প্লাজমা থেকে ক্যান্সার ও এইডসের ওষুধ উৎপাদনে এই অর্থ বিনিয়োগ করবে অরিক্স বায়োটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অরিক্স বায়োটেক জানায়, হাইটেক সিটিতে মানুষের দেহ থেকে বছরে ১২শ’ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হবে। এর সঙ্গে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রেখে প্লাজমা বিশ্লেষণ করে এইচআইভি (এইডস) এবং ক্যান্সার, সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের ওষুধ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়োটেক পণ্য সহজলভ্য হবে।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সামিট টেকনোপলিসের বরাদ্দ পাওয়া ২০ একর জমি এবং ভবনে দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম বায়োটেক শিল্প খাতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই বিনিয়োগ কার্যকর করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষির্কী উদযাপনের বছরে এটি সন্তোষজনক ব্যাপার যে এই প্লাজমা ফ্রাকশানেশন প্ল্যান্টটি বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাই-টেক পার্ক। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ও দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে ২৮টি হাই-টেক পার্ক। বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৫টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টারসহ উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন