শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে

এখন বর্ষাকাল বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষার সময় ছাতার ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এসময়ে ছাতা কারিগরদের কর্মব্যস্ততাও বাড়ে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাতার কারিগররাও এর ব্যতিক্রম নয়। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় ছাতার কদর,তাই ক্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে বসতিসহ ভ্রাম্যমান ছাতা কারিগরদের কাছে ভিড় জমায় লোকজন।

এদিকে বর্ষার কারণে পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে ভ্রাম্যমান ছাতা কারিগর,ত্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ওই কারিগরদের কাছে ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই বর্তমানে মৌসুমি ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় অন্য ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছে ছাতা কারিগররা।

পাঁচবিবি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগররা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাক্স নিয়ে রাস্তার পাশে কেউ অন্যের বারান্দায় বসে ছাতা মেরামতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনভর হরেকরকমের ভাঙ্গা ছাতা মেরামত করছে । আর কাজ বুঝে প্রতিটি ছাতা মেরামতের টাকা নিচ্ছে তারা। বৃষ্টির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাজের চাপও বেড়ে যায় তাদের। আর বৃষ্টির হাত থেকে স্বস্তি পেতে বর্ষার অক্রিতিম বন্ধু ছাতাকে মেরামত করতে যেন ভুলছেনা কেউ।

ছাতা কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই বাবা দাদার এ পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাদের হাত ধরে প্রায় ২০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের ছয় মাস তারা এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে ৪শ থেকে ৫শ টাকা আয় করেন তারা। এবার করোনার কারণে কাজ একটু কম বলেও জানান ।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ারবাজারে উত্থানে ফিরেছে সূচক

আরেক ছাতা কারিগর বলেন,আমি এ পেশায় ২০-২৫ বছর ধরে আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হতো। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগার কিছুটা কম হচ্ছে। বছরে ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি বাকি ছয় মাস ত্রুটিযুক্ত তালা ভালো করে সংসার চালাই।

ছাতা মেরামত করতে আসা বাগজানা গ্রামের বাসিন্দা নবির উদ্দিন বলেন,একটি ভালো ছাতা ক্রয় করতে ২৫০-৫০০ টাকা প্রয়োজন। এর চেয়ে পুরোনো ছাতাটি মেরামত করে নিলেই চলে। এখনকার যে ছাতা, সবে মাত্র ১ মাস হল ছাতাটা কিনেছি,এখনই মেরামত করতে আসা লাগল।
ধরঞ্জী গ্রামের ছাতা কারিগর আইনুল ইসলামের এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,বছরের অন্যান মৌসুমে তেমন কোন কাজ থাকেনা। শুধু মাত্র বর্ষার অপেক্ষায় থাকি।

বর্ষা এলেই বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি ছাতা মেরামতের জন্য। আর বর্ষা এলেই আমাদের আয়ও বহুগুণে বেড়ে যায়।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন