বাংলাদেশের নৃত্যজগতে এক পরিচিত নাম ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। নৃত্যের সাথেই যার বসবাস। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই জড়িয়ে পড়েন নৃত্যের সাথে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত চলমান। প্রতিনিয়ত একের পর এক তাক লাগানো কোরিওগ্রাফি উপহার দিয়ে যাচ্ছেন দেশের নৃত্যশিল্পে। শুধু তাই নয়, নৃত্য পরিচালনার জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
বরিশালের শিশু সংগঠন ‘খেলাঘর’ থেকে নৃত্যের হাতেখড়ি। তারপর থেকেই নৃত্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ‘নৃত্য ভূমি’ নামে ঢাকায় একটি নাচের স্কুলও গড়ে তোলেন। পাশাপাশি যারা প্রফেশনাল ভাবে নাচের প্র্যাকটিস করেন তাদের জন্য গড়ে তোলেন ‘সোহাগ ডান্স ট্রুপস’। মুলত ‘সোহাগ ডান্স ট্রুপস’র মাধ্যমেই প্রফেশনাল নাচের প্রোগ্রাম গুলো পরিচালনা করেন তিনি।
ইভান শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, যে বয়সটায় আমার নিজেকে সময় দেয়ার দরকার ছিল, যে বয়সটায় আমার নিজেকে তুলে ধরার উপর্যুক্ত সময় ছিল, সে বয়স থেকেই আমি নাচের কোরিওগ্রাফি শিখিয়ে যাচ্ছি। নাচ ভালো লাগার কারণে, নাচকে ভালোবাসার কারণেই নিজের চেয়ে নিজের শিক্ষার্থীদের বেশী সময় দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান এই করোনা মহামারি সময়ে আমরা সকলেই ঘরবন্দী। এমন অবস্থায়ও চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে শিল্পের চর্চা করা যায়। তারই ফল স্বরূপ ভারতের ‘ক্রিসেন্দো ডান্স ইন্ডিয়া’ ও ‘সোহাগ ডান্স ট্রুপ’ এর সমন্বয়ে শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখার জন্য নৃত্যের ওপর একটি ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু করেছি।
সোহাগ বলেন, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার মেহজাবিন চৌধুরীর সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে প্রায় ৩০০ এর মতো নাচ করেছে সোহাগ-মেহজাবিন জুটি।
এছাড়াও নেচেছেন বাংলাদেশের সকল তারকারা তার সাথে। সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে পূর্ণিমা, মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, বিদ্দা সিনহা মিম, পরীমনি, মাহিয়া মাহি, অপু বিশ্বাস, মম, তানজিন তিশা, সাবিলা নূর, তারিন, ঈশিতা, চাঁদনী, নাদিয়া সহ দেশের প্রায় সকল তারকারা।
উল্লেখ্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পরপর চারবার আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, পরপর চারবার বাংলাদেশ টেলিভিশন দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড, বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে প্রয়াস অ্যাওয়ার্ড, নেপাল থেকে নেপাল বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিনিময় অ্যাওয়ার্ড, জাতীয় শিশু পুরস্কার, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পুরস্কার সহ প্রায় ২০০ এর অধিক অ্যাওয়ার্ড রয়েছে সোহাগের ঝুলিতে।
আনন্দবাজার/শাহী