নেপালে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত বিশ্ব পর্যটনে তুলে ধরছেন নেপালের সৌন্দর্যকে। তিনি নেপালকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরতে কাজ করছেন নিরলস ভাবে। বছরের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে একগুচ্ছ ছবি দিয়েছিলেন হৌ। নেপালিকন্যার সাজে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অনন্যা।
ছবির সঙ্গে তাঁর আহ্বান ছিল, হিমালয়ের পাদদেশে নেপালে আরও বেশি করে বেড়াতে আসার জন্য।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রী যোগেশ ভট্টরাইকে ট্যাগ করে নিজের টুইটারে রাষ্ট্রদূত হৌ লিখেছিলেন, নেপালের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইতিহাস, প্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যে ভরা নেপাল ভ্রমণপিপাসুদের পা পড়ার অপেক্ষায়।
১৯৯৮ থেকে ২০০১ অবধি হৌ ছিলেন পাকিস্তানের চিন দূতাবাসের উচ্চপদস্থ পদে। এছাড়া হৌ এর আগে লস অ্যাঞ্জেলসের কনসাল জেনারেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। গত দু’বছর ধরে তার কাজের জায়গা নেপাল।
নেপালবাসীর শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় হৌ-এর টুইটার হ্যান্ডল। নেপালের পর্যটন শিল্প অনেকটাই নির্ভর করে চিনের উপর। করোনা প্রকোপের আগে প্রতি বছর নেপালে বেড়াতে আসতেন অসংখ্য চিনা পর্যটক।
২০২০ বছরটাকে ‘ভিজিট নেপাল ইয়ার’ হিসেবে পালন করবে বলে গত বছরই ঠিক করেছিল নেপাল। কিন্তু করোনাভাইরাস সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। গত বছরই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং নেপাল সফর করেন। তারপর এক লাফে বেড়ে যায় চিনা পর্যটকের সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে চিনের ১ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ বেড়াতে এসেছিলেন নেপালে। অন্যান্য বছরের হিসেবের তুলনায় তা অন্তত সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।
শুধু পর্যটন ক্ষেত্রই নয়। চিন-নেপাল সম্পর্কের অন্য দিকও তুলে ধরেন হৌ ইয়াঙ্কি। তিনি বলেছেন, তাঁর দেশ গত চার বছর ধরে নেপালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে সাহায্য করছে। তার মধ্যে পর্যটন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস