প্রকৃতিতে এখনো এমন অনেক অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে যেগুলো ব্যাখ্যা করতে পারেনি কোন বিজ্ঞানী। অন্যদিকে প্রকৃতির অনেক রহস্যজনক ঘটনাও উঠে এসেছে অনেকের হাত ধরে। তেমনি একটি ব্যাপার হচ্ছে গাছের হাজার বছরেরও বেশি টিকে থাকা। আজকে আমরা তেমনি কিছু দীর্ঘায়ু গাছ সম্পর্কে জানব। তো চলুন জেনে নেয়া যাক।
গিঙ্কগো বাইলোবা
এ গাছটির অন্য একটি নাম মেইডেনহেয়ার। চীনে এ গাছটি দেখতে পাওয়া যায়। গিঙ্কগো বাইলোবা বেঁচে থাকতে পারে ১ হাজারের বেশি বছর। এর দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে গোপন কী কারণ আছে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সেটি খুঁজে বের করেছেন। গবেষণা থেকে জানা গেছে, এই গাছ এমন কিছু রাসায়নিক উৎপাদন করতে পারে যা তাদের রোগ জীবাণু ও খরা থেকে রক্ষা করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ বৃক্ষের বয়স বাড়লেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কোন তারতম্য হয় না।
গ্রেট বেসিন ব্রিস্টলকোন পাইন
ধারণা করা হয়, পৃথিবীর গাছপালা ও পশুপাখির মধ্যে গ্রেট বেসিন ব্রিসেলকোন পাইনগাছই সবচেয়ে প্রাচীন। সারা বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত ব্রিসেলকোন পাইন গাছটির নাম মেথুসেলাহ। এ গাছটির বয়স ৪ হাজার ৮০০ বছরেরও বেশি বলে ধারণা করা হয়। এর দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য হচ্ছে, অত্যন্ত বিরূপ ও বৈরী পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে এই গাছটি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা এবং ইউটার উঁচু উঁচু পর্বতে এ গাছ জন্মায়। এরা নানা রকমের কীটপতঙ্গ ও ফাঙ্গাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
ক্রিপ্টোমেরিয়া
জাপানী এই গাছটি ক্রিপ্টোমেরিয়া নামেই পরিচিত। জাপানিরা এগুলোকে জাপানি সেডারও বলে থাকে। চীনের কিছু কিছু এলাকায় এবং দক্ষিণ জাপানে এ গাছগুলো দেখতে পাওয়া যায়। হালকা শীতের আবহাওয়ার মধ্যে এ গাছ জন্মায়। জাপানের এরকম কিছু কিছু গাছের বয়স ৬৫০ বছরেরও বেশি বলে ধারণা করা হয়। আর চীনে এ প্রজাতিরই কিছু গাছের বয়স প্রায় ১ হাজার বছর।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস