করোনার মধ্যেও গেল ঈদের আগে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে ঈদের পর চাহিদা কমায় গত এক মাসে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আদা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের মূল্য কমেছে। সম্প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী বাজারসহ আরও বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদের পর গত এক মাসে নাজির এবং মিনিকেট চালের মূল্য ৪ দশমিক ২০ শতাংশ কমে ৫২ থেকে ৬২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের পাইজাম এবং লতা চালের মূল্য মাসের ব্যবধানে একই আছে। খোলা আটার মূল্য বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা। তবে প্যাকেট করা ময়দা আগের মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভোজ্য তেলের সব থেকে বেশি মূল্য কমেছে সুপার পাম অয়েলের। সুপার পাম অয়েলের দাম ৬ দশমিক ৪৫ শতংশ কমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। তবে লুজ (খোলা) পাম অয়েলের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। লুজ (খোলা) সয়াবিন তেলের মূল্য ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গেল এক মাসে সব ধরনের মসুর ডাল এবং অ্যাংকর ডালের মূল্য কমেছে।
করোনায় প্রভাবে রোজায় কয়েক দফা বাড়লেও ঈদের পর একাধিক দফায় কমেছে চিনির মূল্য। অপরদিকে ডিমের মূল্য ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি হালি ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ মসলার মূল্য কমলেও গেল এক মাসে দেশি হলুদের মূল্য কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।
অপরদিকে মাছ-মাংসের মূল্য মাসের ব্যবধানে কমেছে। রুই মাছ ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ইলিশ মাছ আগের মূল্যেই ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৫৭০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে