ভারতের শুল্ক বিভাগ দেশটির সকল বন্দর ও বিমানবন্দরে আমদানি করা চীনা পণ্যের ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির কাস্টমস এজেন্টরা।
কাস্টমস এজেন্টদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুল্ক বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার থেকে আমদানি করা চীনা পণ্যে ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিভাগের অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ কারণে চীন থেকে আমদানি করা পণ্য বিমানবন্দর ও বন্দরে পড়ে আছে। তাছাড়া যে সকল চীনা পণ্যে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সেগুলো আবার পরীক্ষা করবেন শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাগণ। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি শুল্ক বিভাগ।
ভারতের শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কলকাতা বিমানবন্দরে এই মুহূর্তে ৪০ টন চীনা সামগ্রী পড়ে আছে। পড়ে থাকা এই সামগ্রীর বাজারমূল্য ৩৫ কোটি টাকা। কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি বছর ১৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়। এ সকল পণ্যের ৬৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। চীন থেকে কলকাতা দিয়ে প্রায় ২৫০ রকম সামগ্রী আমদানি হয়। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, সুগন্ধি, পোশাক, যন্ত্রংশ, রাসায়নিক, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, চা প্যাকেজিংয়ের যন্ত্র- এই সব পণ্যই মূলত চীন থেকে ভারতে আমদানি করা হয়।
চীনা পণ্য বন্ধ হলে প্রথমে একটু অসুবিধা হবে। তবে পরে অন্য জায়গা থেকে জিনিস এলে চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে অনেকে।
লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হন। এরপরই ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের পক্ষে জনমত তৈরি হয়। তার প্রেক্ষিতেই শুল্ক দপ্তর এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি