করোনার এই মহামারিতে বাজারে চলছে স্যাভলনের আকাল। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বিভিন্ন ফার্মেসিতে ২২০ টাকার স্যাভলন ৬৮০ টাকায় বিক্রি করার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে দুই ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শনিবার এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিভিন্ন ফার্মেসিতে ডেটল, স্যাভলন আছে কিনা জানতে চাইলে দোকানিরা সরাসরি তাকে নেই বলে জবাব দেন। এসময় হাসান নামে এক ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে ফুলতল বাজারের আল ফেসানী (রা.) ফার্মেসির পিছনের রুমে গিয়ে তিনি দেখতে পান স্যাভলনের বিপুল মজুদ। প্রতি লিটার বোতলের মূল্য ২২০ টাকা। কিন্তু মূল্য তালিকা ছিঁড়ে ৬৮০ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছিল।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দোকানের মালিক নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর গ্রামীন ডি সি ফার্মেসিতেও ডেটল, স্যাভলনের মজুদ থাকার পরও নেই বলে জানানো হয়। পরে দোকানের পেছনে প্রচুর ডেটল ও স্যাভলন পাওয়া যায়। মজুদের দায়ে ওই ফার্মেসির মালিক মো. জাহাঙ্গিরকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ক্যাশ মেমো ছাড়া, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে এবং অবৈধ ওষুধ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, উপজেলার বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তারা ওষুধ ও নিত্যপণ্যের কৃক্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশিমূলে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।
আনন্দবাজার/শাহী