ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেভাবে জানবে মহামারী সম্পর্কে

একসময়ের ব্যস্ততম রাস্তাগুলো এখন একেবারেই নির্জন, করোনায় সেবা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের ক্লান্ত মুখ, লাশের পর লাশের ছবি। এগুলো এমন কিছু চিত্র, যা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কে ধারণ করছে। বিশ্বজুড়ে জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি করোনাভাইরাস মহামারী নথিভুক্ত করার কাজ করে চলেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মহামারি সম্পর্কে জানতে পারে সেই কারনেই এই উদ্যোগ নেয়া।

এপ্রিলের শেষ দিকে প্রত্নতত্ত্ব, ভবন এবং সামাজিক ইতিহাসের দলিল সংরক্ষণ করা ‘হিসটোরিক ইংল্যান্ড’ লকডাউন সময়ের ছবি সংগ্রহের জন্য ‘পিকচারিং লকডাউন কালেকশন’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করার এক সপ্তাহ পর তারা পুরো দেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার ছবি পায়, যা বিচিত্র এক  অভিজ্ঞতার জীবন্ত দলিল। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বজনীন সংগ্রহের জন্য সংস্থাটির প্রথম আহ্বান।

এই ব্যাপারে হিসটোরিক ইংল্যান্ডের ক্রিয়েটিভ প্রোগ্রামস অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের প্রধান এলেন হ্যারিসন জানান, এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেছনে ফিরে তাকিয়ে আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য কী করতে হয়েছিল তা দেখতে পাবে।

অস্ট্রিয়ার উইন জাদুঘর তাদের ‘করোনা ইন ভিয়েনা’ প্রকল্প শুরু করেছে এবং করোনার সময়ে জনগণের নতুন ব্যক্তিগত বা পেশাদার জীবনের বিশেষ, নতুন বিষয়গুলোর ছবি সংযুক্ত করেছে। এর মধ্যে স্বাক্ষর, পোস্টার, বাড়িতে তৈরি শিল্পকর্ম, সামজিক দূরত্ব কার্যকরে বাধা এবং আরো অনেক ব্যাপার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এভাবেই বৈশ্বিক সংগ্রহশালাগুলো করোনাভাইরাস মহামারীর এ কঠিন সময়ের উপকরণ, চিত্র এবং গল্পগুলো সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ শুরু করেছে। আজকের এসব সংগ্রহের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে এ মহামারী সম্পর্কে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন