যশোরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। গেল সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা তা এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। তাতে দেখা গেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা করে।
তবে সরজমিনে ঘুরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরর কাছ থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে দাম কমেছে। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমার কারণে পাইকারি কিছু ব্যবসায়ীর অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যশোরের বড় বাজার ও চুরামনকাঠির পাইকারি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ এখনো অনেক রয়ে গেছে। তাদের প্রতিকেজি পেঁয়াজে ৫ থেকে ৭ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজের তুলনায় দেশী পিয়াজের চাহিদাটা একটু বেশি। কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতা হাবিবুর জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি দিন রাখা যায় না পচে যায় কিন্তু দেশি পেঁয়াজ দীর্ঘদিন রেখে খাওয়া যায়। যে কারণে দেশি পেঁয়াজের চাহিদাটা বরাবরই একটু বেশি।
রিপন নামের এক ক্রেতা বলেন, দেশের অবস্তা খুব খারাপ কখন আবার লকডাউন হয়ে যায় তাতো আর বলা যায়না তাই বেশি করে দেশি পিয়াজ কিনে রাখছি বাজারে বারবার আসা যাবেনা তাই। দেশি পেঁয়াজ অনেকদিন রাখা যায় পচে না, তাই দেশি পেঁয়াজ বেশি করে ক্রয় করে রাখলাম।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম এইচ