নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবং উপসর্গ দেখা দিয়েছে শতাধিক কর্মীর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিস্থিতির অবনতি হলে বিকল্প কর্মীর অভাবে সংকট মুহূর্তে অফিস চালানো দুরূহ হয়ে পড়বে। স্থবির হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম। এতে করে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হবে। তাই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল ও নিরবছিন্ন সেবার জন্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনসহ কর্মীদের রোস্টারিং ডিউটির ব্যবস্থা করা জরুরি বলছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আরও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন, ফলাফল এখনও তাদের হাতে পৌঁছায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ প্রকাশ পায় না বিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অধিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বরাত দিয়ে ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল জানায়, সংক্রমণের ঝুঁকি যতটা সম্ভব কমিয়ে কর্মীদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে। কোন কর্মী আগে কাজে ফিরবেন তা নির্ধারণ করার পাশাপাশি যারা ঘরে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন তাদের ঘরে থেকেই কাজ করতে হবে।
গভর্নরের কাছে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের দাবি, এমন প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অফিস, বিভাগ, সেকশন কর্মকর্তাদের দু-তিন ভাগে ভাগ করে সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক আবর্তনের মাধ্যমে অফিস পরিচালনা করা।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি