গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপালের হামলায় এখন নাজেহাল ভারত ও পাকিস্তান। করোনার মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে পঙপালের হামলায় এই দুই দেশ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে এই সংকটের মধ্যেই নতুন একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের কৃষকরা। পঙ্গপালও আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে পাঞ্জাবের ওকারা জেলায়।
জানা যায়, পঙপাল মুরগির জন্য উচ্চপ্রোটিন যুক্ত খাবার। ওকারা জেলায় উদ্ভাবনী এ প্রকল্প এনেছেন পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ খুরশিদ ও পাকিস্তান কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জৈবপ্রযুক্তিবিদ জোহর আলী।
জোহএ আলী বলেন, আমরা যখন শুরু করলাম তখন অনেকেই উপহাস করেছে। কারণ পঙ্গপাল ধরে বিক্রি করবে এ চিন্তা তখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি।
মোহাম্মদ খুরশিদ বলেন, আমরা ইয়েমেনের ২০১৯ সালের একটি উদাহরণ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষ কবলিত ওই দেশটিতে শ্লোগান উঠেছিল, ‘পঙ্গপাল খেয়ে ফেল, ওরা ফসল খাওয়ার আগে’।
পাকিস্তানের জনসংখ্যাবহুল প্রত্যন্ত গ্রাম ওকারা জেলাতে তিনদিনের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেন জোহর আলী ও খুরশিদ। প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রতি কেজি পঙ্গপালের বিনিময়ে ২০ পাকিস্তানি রুপি করে দেয়া হয়। এবং একটি শ্লোগান ছড়িয়ে দেন, ‘পঙ্গপাল ধর, আয় কর এবং ফসল বাঁচাও’।
পাকিস্তানে মুরগির খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান হাই-টেক ফিডসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাহার বলেন, পঙ্গপাল যদি কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ধরা যায় তবে এটি অত্যন্ত উচ্চপ্রোটিন যুক্ত খাবারে পরিণত হয়। এ খাবার হাস-মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুকে খাওয়ানো যায়।
আনন্দবাজার/টি এস পি