বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে ধস নামতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। সেই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেত যাচ্ছে ইতালি। করোনার কারণে ইতালির পর্যটন খাত, অন্যান্য সেবা ও দোকান মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ইতালির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা।
ফেডারেশনের প্রধান জানায়, আমরা কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য ব্যয় বহন করতে পারছি না এজন্য সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত। আর এই কার্যক্রম ফলপ্রসু করতে আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো দরকার। এদিকে ব্যাংকগুলো দ্রুত কাজ না করায় গেল সপ্তাহে অভিযোগ করেছে সরকার তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছে এরই মধ্যে ৪ লাখ লোনের অনুরোধ রাষ্ট্র সমর্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই সর্বপ্রথম করোনা দ্বারা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। করোনার জেরে দীর্ঘ দুইমাস ধরে লকডাউন ছিল দেশটিতে। এতে দেশটির জিডিপি ১৩ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৪.৭ শতাংশ ধারণা করা হলেও, এখন পর্যন্ত ইতালির অর্থনীতির শতকরা ৫.৩ ভাগ সংকুচিত। ১৯৯৫ সালের পর অর্থনীতিতে এতটা ধস পড়েনি ইতালিতে। মেডিওবাঙ্কার এক সমীক্ষায় বলা হয়, চলতি বছরে ১৭০০ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হতে পারে দেশটিতে।
ইতালির প্রধান ব্যবসায়িক সংঘ কোফিনডাস্ট্রিয়ার প্রধান কার্লো বোনমি জানান, দেশব্যাপী ১ কোটি পর্যন্ত মানুষের চাকুরি হারাতে পারে। আমরা মে মাসের শেষে পরিসংখ্যানের জন্য অপেক্ষা করছি তবে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ৭ থেকে ১০ লাক মানুষের চাকরি চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি