সম্প্রতি করোনার এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ফল ক্যান্টালপ এবং সেই সাথে ব্লাক বক্স জাতের তরমুজ চাষাবাদ করে অনেক সমস্যার সম্মুখে পড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুরের আদর্শ কৃষক আহসান-উল-হক বাবু। কারণ এই পরিস্থিতিতে এসব বিদেশি ফল বাজারজাতকরণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে । ফলে পরিশ্রমটাই বৃথা সেই সাথে অর্থ আয়ের পথ রুদ্ধ।
এর আগে কৃষক আহসান-উল-হক বাবু আধুনিক প্রযুক্তি এবং অনলাইন ঘেটে চাষাবাদের কলা-কৌশল শিখে প্রথমে বায়োগ্যাস, তারপর বিলুপ্ত প্রায় কাঠারি, কালোজিরা ধানের জাত উদ্ভাবন, ড্রাগন, রঙিন ভুট্টা চাষ প্রভৃতি কাজে সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি।
তিনি চলতি বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে উচ্চ ভিটামিন এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ বিদেশি ক্যান্টালপ ফল ও আরও সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ব্লাক বক্স জাতের তরমুজের পরীক্ষামূলক চাষ করেন। সুষম সার এবং যত্নে সেসব ফল তোলার উপযোগী হয়েছে। আধুনিক কৃষক আহসান -উল-হক বাবু কৃষকের সজীব সীডস নামে একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তার।
এই ব্যাপারে বাবু বলেন, তার জমিতে ক্যান্টালপ এবং তরমুজের চাষাবাদে সার, বীজ, জাংলা তৈরিসহ পরিচর্যায় প্রতি বিঘায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সেই মোতাবেক তার সাত বিঘা জমিতে সাড়ে চার লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন প্রতি কেজি ক্যান্টালপ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং তরমুজ ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
তার জমির ওই দুইটি ফল বিক্রি করে খরচ উঠার পরও কয়েক লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থতিতে তিনি তার ক্ষেতের ক্যান্টালপ এবং তরমুজ বাজারে নিতে পারছেন না। কারণ ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায় আছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে