করোনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘূর্নিঝড়, তার ওপর পঙ্গপালের হানায় ভয়াবহ হুমকির মুখে ড়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা। চলতি মাসের শুরুতে রাজস্থানে প্রবেশের পর এখন মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে পঙ্গপালের কয়েকটি ঝাঁক।
প্রায় আড়াই থেকে ৩ কিলোমিটার লম্বা পঙ্গপালের এ ঝাঁক প্রতিরোধ করতে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষক ও কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফসল বাঁচাতে নানা সতর্কতা অবলম্বন করছে দুই রাজ্যের সরকার। কোথাও রাসায়নিক স্প্রে কোথাও কিংবা আবার ধাতব শব্দ করে পঙ্গপালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে কৃষকরা। এমনকি রাজস্থান থেকে ড্রোন চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
মধ্যপ্রদেশের কর্মকর্তারা বলেন, ২৭ বছরের মধ্যে পঙ্গপালের আক্রমণ হতে চলেছে এ রাজ্যে। বর্ষা না আসা পর্যন্ত এই সংকট বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। রাজস্থানের বেশ কয়েকটি স্থানে সবজি, ফসল এবং গাছ বিনষ্ট করার পর পঙ্গপালের একটি ঝাঁক মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহের নির্বাচনী এলাকা বুধনিতে প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করে।
রাজ্য কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কমল কাটিয়ার জানান, রাজস্থানের কোটা থেকে একটি দল রাজ্যে আসছে পঙ্গপাল মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে। তবে বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, খুব দ্রুত পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার স্থায়ী মুগ ডালের ফসল বিনষ্ট করতে পারে শুধু মধ্যপ্রদেশে। ফল এবং শাকসবজির বাগানগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
রাজস্থান থেকে উত্তর প্রদেশেও পঙ্গপালের দল ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে জেলা প্রশাসন দমকল বাহিনীকে রাসায়নিক নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পঙ্গপাল মোকাবেলা করতে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে