ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে জয়পুরহাটে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির পাকা এবং আধাপাকা ধান হেলে পড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ ধান নিয়ে কৃষকদের মাঝে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে এসব ধান কেটে প্রক্রিয়াজাত করা হয়ে পড়েছে দুরূহ।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স. ম. মেফতাহুল বারি জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ধানের সেরকম কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তবে ধান কেটে ঘরে তোলা আমাদের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তাঁর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির পাকা এবং আধাপাকা ধান হেলে পড়েছে।
স. ম. মেফতাহুল বারি আরও জানান, জেলায় আমের বাগান না থাকায় সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না তাঁর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তবে বাসা বাড়িতে আল্প পরিসরে আম গাছ রয়েছে। আর সেদিক থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে আম গাছের এবং আমেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে শাকসবজির একটু ক্ষতি হলেও তাঁর পরিমাণ বেশি না। শাকসবজির গাছের ডগা ভেঙে গেছে। কিছু সবজির গাছ নষ্ট হয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জেলায় ঝড় ও থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারারাত বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিকেলে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়। জেলায় বেশি ক্ষতি না হলেও কিছু কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পরে থাকতে দেখা যায়। আর মাঠে গিয়ে দেখা যায় পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত কোথাও হতাহতের ঘটনা কোথাও ঘটেনি বলে জানা গেছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/আর এ