ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সফল হয়নি বানরের দেহে

করোনাভাইরাস থেকে নিস্তার পেতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে সারাবিশ্বে মোট আটটি ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ভ্যাকসিন এর মধ্যে অন্যতম। বেশ আশা তৈরির পরও অবশেষে বানরের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আসেনি সাফল্য।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তিন মাসের প্রচেষ্টায় চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। নভেল করোনাভাইরাসের দুর্বল প্রজাতির একটি অংশ ও জিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। কিন্তু সম্প্রতি বানরের দেহে এই ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা সফল হয়নি।

বেশ কিছু বানরের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর দেখা গেছে যে, এগুলোর দেহে এই ভ্যাকসিন ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রাণী দেহে নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

শিম্পাঞ্জির সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটির একটি দুর্বল সংস্করণ প্রয়োগ করা হয়। মানুষের শরীরেও এটি কাজ করে কিনা তা নিয়ে বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

বানরের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফল বায়োআরএক্সআইভি সার্ভারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফলাফলে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন হয়তো মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ হওয়া অথবা অন্যদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী মহৌষধ হয়ে উঠতে পারবে না।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলোজি ফ্যাকাল্টি এবং সিএসআইআর-ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির সাবেক প্রধান রাজেশ গোখলে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বানরের ওপর পরীক্ষায় যে ফল এসেছে বাস্তবিক বিশ্বে কোনো প্রতিষ্ঠানই এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখবে না।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন