রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিএসইর দুই লাখ টাকা লভ্যাংশ আয় করমুক্ত দাবি

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (১২ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।

বর্তমানে লভ্যাংশ আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা থাকলেও। ডিএসসি কর্তৃপক্ষ এ সুবিধাকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছে। এ সুবিধা প্রদান করলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে, এমনটাই দাবি ডিএসইর।

এ সুবিধা দেয়ার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি আরও যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে, মহামারি করোনার কারণে পুঁজিবাজার ভয়াবহ তারল্য সংকটে ভুগছে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কমে যাবে।

করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর সাথে সাথে আগামী অর্থবছরের বাজেটের জন্য আরও দশটি প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
– স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আগামী ১০ বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যহতি দেয়া। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জকে শতভাগ করমুক্ত সুবিধা প্রদান করা।

-স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম কর হার (এআইটি) ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা।

– এসএমই প্লাটফরমের ক্ষেত্রে এআইটি না নেয়া।

– ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা এবং দুই বছর তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কর সুবিধা দেয়া।

– তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হার ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা। এছাড়া তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত) কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এনে ৩২.৫০ শতাংশ করা।

আরও পড়ুনঃ  চলনবিলের মুক্ত ৯১টি পাখি

– নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে প্রথম তিনবছর কর হার সুবিধা ১০ শতাংশ থেকে বাড়ানো এবং নতুন বন্ডের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম তিন বছর ১০ শতাংশ হারে কর সুবিধা দেয়া।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন