করোনার কারণে ইউরোপে অভিবাসনের হার হ্রাস পেয়েছে ৪৩ শতাংশ। গত মার্চে মার্চে ইউরোপে অভিবাসনের জন্য মোট আবেদন করেছেন ৩৪ হাজার ৭৩৭ জন। ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিস (ইসো) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসো জানিয়েছে, ইউরোপের প্রতিটি দেশই করোনার কারণে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই ৪৩শতাংশ হ্রাসের এই হার প্রতিটি সদস্য দেশের ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের নয়। গত ২ বছর ধরেই বাড়ছে ইউরোপে অভিবাসনের আবেদনের হার। মার্চে ইউরোপে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অভিবাসনের জন্য আবেদনের হার ২০১৯ সালের একই মাসের চাইতে ১৬ শতাংশ বেশি ছিলো।
মার্চে করোনার প্রকোপের আগে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনের আবেদন এসেছে সিরিয়া (১৪ হাজার ৪৪১) ও আফগানিস্তান (১৩ হাজার ২৪৫) থেকে। এরপর রয়েছে কলম্বিয়া (১০ হাজার ১৫৫) ও ভেনেজুয়েলার (১০ হাজার ০৯৮) অবস্থান। ইসো জানায়, এ বছরের প্রথম দুই মাসে মোট অভিবাসনের জন্য আবেদনের ৩৮ শতাংশই এসেছিলো এই ৪ দেশ হতে।
এদিকে করোনার কারণে ইইউ রাষ্ট্রগুলো উন্মুক্ত সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। ফলে শরণার্থীদের জন্যও ইইউ দেশগুলোতে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী প্রধান ইইউ দেশগুলোকে অভিবাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইইউ কমিশনের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাহী জিভা জোহানসন বলেন, স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও আমাদের ব্যক্তিগত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইইউ কমিশন সদস্যদেশগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস