ঢাকা | শুক্রবার
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে যশোরের রেণু ও পোনা উৎপাদনকারীরা

করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যশোরের রেণু ও পোনা উৎপাদন। মৎস্য বিভাগের উৎসাহে এমন পরিস্থিতিতেও লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন শুরু করেছে হ্যাচারিগুলো। সরকার থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও হ্যাচারি মালিকরা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

যশোরের রেণু ও পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারিগুলো দেশের মাছের উৎপাদন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলার ৩৪টি হ্যাচারিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, শোল, থাই সরপুটি, মিরর কার্প, চিতল, আইড়, তেলাপিয়া, শিং, কৈ, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন মাছের রেণু উৎপাদন হয়। এছাড়া প্রায় ৬ হাজার নার্সারি রয়েছে যেখানে রেণু থেকে পোণা উৎপাদন করা হয়। এই উৎপাদন ব্যবস্থা ও ব্যবসার সাথে জড়িত জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে গণপরিবহণ বন্ধ ও মানুষের ঘরে থাকার নির্দেশনার কারণে গত ২৫ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছিল যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতি। যে কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রেণু ও পোনা উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে মৎস্য বিভাগের উৎসাহে আবারো উৎপাদন শুরু করে হ্যাচারিগুলো।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা হ্যাচারিগুলো সচল রেখেছে। তারা সামাজিক দূরত্ব মেনেই চাষিদের মাঝে পোনা সরবরাহ করে যাচ্ছে।

রুপালি ফিস হ্যাচারির মালিক হাফেজ শেখ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গাড়ি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী এবং চাষিরা সহজে আসতে পারছে না। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন