করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলছে সকার অঘোষিত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ যোগাযোগ পরিবহন, হোটেল, রেস্তোরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্প ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়।
লকডাউন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা। প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। সেইসাথে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী।
হলিডে ইন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন জানান, মৌসুমে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজ নির্মাণ কাজ করে থাকেন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন সাজে সাজিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতি এই ব্যবসাকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে ফেল দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগের মতো পর্যটকের দেখে মিলবে না বান্দরবানে। ফলে ঋণের বোঝা নিয়ে থাকতে হবে ব্যবসায়ীদেরকে।
টুরিস্ট পরিবহন শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল বলেন, পর্যটক মৌসুমে প্রায় ছয়শত শ্রমিকের গাড়ির চাকা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। টুরিস্ট গাড়িগুলো মালিক-শ্রমিকরা কষ্টে আছে। সাময়িকভাবে শ্রমিকেরা সরকারি ত্রাণসামগ্রী দিয়ে জীবন-যাপন করলেও ভবিষ্যতে শ্রমিকদের ভাগ্যে কি রয়েছে বলা যাচ্ছে না। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আশানুরূপ পর্যটক না আসার সম্ভব না বেশি। কারণ মানুষের মনে আতঙ্ক থেকেই যাবে।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরানে পর্যটনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে সকল ব্যবসায়ীরা আর্থিভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে উঠতে পারবে। তার আগে আমাদের জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর ব্যবসা। সবাইকে সরকারি নির্দেশনা যথাযথ পালন করতে হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি