শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য সরবরাহ নিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ

করোনাভাইরাসের কারণে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সরকার ঘোষিত এই সাধারণ ছুটির এক সপ্তাহ পর থেকেই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দেখা দিয়েছিল পণ্য ওঠানামা ও সরবরাহে অচলাবস্থা। বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ এক-তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ায় ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্টোর রেন্ট মাফ করেও কোনো সুফল পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর ক্ষেত্রে রেশনিং পদ্ধতি চালু করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

গত মঙ্গলবার পরিস্থিতি সামাল দিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা জরুরি সমন্বয়সভা করেন। তবে সভায় কোনো সমাধান না আসায় কোনো উন্নতি হয়নি বন্দর পরিস্থিতির।

অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন বিপদে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ভেতর বিভিন্ন ইয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার একক কনটেইনার রাখা যায়। কিন্তু সেই ধারণক্ষমতা উপচে গিয়ে সাড়ে ৪৯ হাজার এককে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ৫০০ একক বাড়তি কনটেইনার রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত অচলাবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়। তাই নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বন্দরের ভেতর থেকে পণ্যভর্তি কনটেইনার পাশে অবস্থিত বেসরকারি করটেইনার ডিপোগুলোতে স্থানান্তর করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৫ থেকে ২০ হাজার একক পণ্যভর্তি কনটেইনার বন্দর ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া হবে। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। আমার ১৫ এপ্রিল এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বন্দরের ভেতর আটকে থাকা ভোগ্য ও খাদ্যপণ্য বাছাই করে দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা নিলে দেশের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ঠিক থাকবে। একই সঙ্গে বন্দরের ভেতরও কনটেইনার রাখার স্থান বাড়বে। তবে কারখানা না খুললে শিল্পের কাঁচামাল কিভাবে তাদের গুদামে নেবেন তা বুঝে উঠতে পারছি না।

আরও পড়ুনঃ  তেল উত্তোলনে রেকর্ডের পথে মিসর

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন