ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড ভাঙতে পারে বৈশ্বিক শস্য উৎপাদন

শস্য উৎপাদনের চলতি মৌসুম প্রায় শেষের পথে। নভেল করোনাভাইরাসের জেরে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন নিয়ে পরবর্তী মৌসুমের প্রতিবেদন প্রকাশে খানিকটা বিলম্ব করেছিল আইজিসি। মহামারীটির সম্ভাব্য অগ্রগতি ও স্থিতিকাল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতেই অপেক্ষা করছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সকল দ্বিধা কাটিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত করেছে প্রতিষ্ঠানটির ২০২০-২১ মৌমুমের জন্য শস্যের বৈশ্বিক উৎপাদনসংক্রান্ত প্রথম সম্পূর্ণ প্রাক্কলন প্রতিবেদন। এতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য উৎপাদন পূর্বের রেকর্ড ছাড়াতে পারে। রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম সূত্রে জানা গেছে।

আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ২২২ কোটি টনের কাছাকাছি, চলতি মৌসুমের তুলনায় যা ২ শতাংশ বেশি।

প্রতিষ্ঠানটির মাসভিত্তিক সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে শস্যের বীজ ও সারের মতো কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উপকরণের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। তবে সব বাধা পেরিয়ে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকতে পারে।

এদিকে উৎপাদন রেকর্ড বাড়লেও আগামী মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে বলে জানায় আইজিসি। শস্যের বৈশ্বিক চাহিদা ও ব্যবহার বৃদ্ধি এর পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। এমনকি মোট উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে শস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার।

আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার বেড়ে ২২৩ কোটি টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২১৯ কোটি টন। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে আগামী মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার বাড়তে পারে ৪ কোটি টন।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন