শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহবাগে ফুলের কান্না

দৈনিক ক্ষতি আড়াই লাখ টাকা

যে পথ দিয়ে হাটলে চোখে পরত থরে থরে সাজানো বাহারি ফুল, সে পথ এখন জনশূন্য। দোকানগুলোও বন্ধ। তাজা ফুলের সুঘ্রাণের বদলে  নাকে ভেসে আসছে পচা-বাসি ফুলের গন্ধ। আর এই সব কিছুই হল করোনার প্রভাব। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ ফুলের দোকানগুলোতে প্রতিদিনের ক্ষতির অঙ্ক ছুঁয়েছে আড়াই লাখের ঘর।

মঙ্গলবার  দুপুরে সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে গিয়ে দেখা যায়, জনমানবশূন্য দোকানগুলোতে ঝুলছে অনেক ফুল। তাঁর মধ্যে বসন্তের ফুল গাঁদার আধিক্যই বেশি। ক্রেতা-বিক্রেতা না থাকা দোকানের ফুলগুলো থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে।আর অযত্নে মালা থেকে ঝরে পড়ছে ফুল। এ যেন ফুলের কান্না।

পাশাপাশি থাকা প্রতিটি দোকানই বন্ধ। এর মধ্যে এক দোকানের বাইরে ঝুলে আছে গাঁদা ফুলের মালা। অযত্নে থাকা হলুদ গাঁদা ফুলগুলোও ইতোমধ্যেই ধারণ করেছে কালচে রঙ। প্রায় সব দোকানের সামনে একই দৃশ্য।

শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির তথ্য মতে, শাহবাগ মোড় থেকে শিশু পার্কের গেট ও শাহবাগ থানা গেট পর্যন্ত সব মিলিয়ে ফুলের দোকান রয়েছে ৫১টি। গত ২৬ মার্চ থেকে যার সবগুলোই এখন বন্ধ।

খোলা থাকা অবস্থায় প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতো। সে হিসেবে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতো। ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যেই সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারণে এ ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াবে ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  দুই পুঁজিবাজারেই বড় দরপতন

এ বিষয়ে শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের এখানে ৫১টি ফুলের দোকান রয়েছে। যার প্রতিটিতে দৈনিক কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতো। মানে বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিনি আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হবে।

তিনি আরও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হওয়ার কারণে ফুলের বিশেষ চাহিদা থাকে। যার জন্য ফুল স্টকও করেছিলাম। কিন্তু সরকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। তাছাড়া আজ আবার পহেলা বৈশখের অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।আমাদের মাঠে মরার অবস্থা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন