ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপাকে সবজী ব্যবসায়ী ও কৃষকরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেকারণে ক্রেতা নেই বাজারে। ফলে সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষক এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

সবজি কিংবা খাদ্যপণ্য বেচাকেনা ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের ভয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকামের হাটগুলোতে না আসায় দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। আবার কোনো কোনো পাইকারি ব্যবসায়ী মোকাম থেকে সবজি কিনে নগরীর পাইকারি বাজারগুলোতে আনলেও আড়তগুলোতে বেচাকেনা না থাকায় ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

করোনা পরিস্থিতির আগে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি। তিনদিন ধরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্য না কেনায় ২-১০ টাকায় সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে বাজারগুলোয়। মোকামের এসব পাইকারি বাজারে তিনদিন ধরে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২-৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ৫-৭ টাকা, কাঁচামরিচ ৮-১০ টাকা, মিষ্টি আলু ১০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮ টাকা, মুলা ২-৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫-৭ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২-৪ টাকা ও আলু বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকার মধ্যে।

কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাজারে পৌঁছেই দেখতে পাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে গ্রামের বিক্রেতারা বাজারে এলেও শহর থেকে তেমন পাইকারি ক্রেতা আসেননি। তাছাড়া হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হচ্ছিল। ক্রেতা-বিক্রেতার জমায়েতে বাধা দেয়া হচ্ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে ঝামেলা এড়াতে নামমাত্র মূল্যে পণ্য বিক্রি করে বাড়ি চলে আসি।

তিনি আরও বলেন, করোনা নামের একটি ভাইরাস নাকি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় নাকি ঘরে থাকা। কিন্তু আয়-রোজগার না করে ঘরে বসে থাকলে খাওয়াবে কে? মাঠে ফসল তোলার সময় চলে যাচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে টমেটো ও বেগুন না তুললে ক্ষেতের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবে কি চলা যায়?

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন