পালা করে এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত করে আনার সিদ্ধান্ত না নেয়া হলেও আপাতত এই পদ্ধতিতেই ব্যাংকগুলো কাজ করবে।
বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন, ব্যাংক এশিয়া, দি সিটি, ব্র্যাক, এনআরবিসহ বশ কয়েকটি ব্যাংক ইতোমধ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি, আইডিএলসি, লঙ্কাবাংলাও একই সিদ্ধান্তে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকে নতুন যোগ দেয়া কর্মকর্তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাকি কর্মকর্তাদের জন্য পালা করে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে গ্রাহকদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হচ্ছে ব্যাংকগুলো থেকে। প্রতিটি শাখাতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছে ব্যাংকগুলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত করে আনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ব্যাংকগুলো। কাশি ও হাঁচি দেওয়ার ক্ষেত্রে রুমাল অথবা টিস্যু ব্যবহার করে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এমনকি জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত কর্মকর্তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজন হলে ১৪ দিনের ছুটি বাধ্যতামূলক করতেও বলা হচ্ছে।
এর আগে ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস