আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। খরা ও করোনাভাইরাসের কারণে অন্যতম শীর্ষ দুই রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে পণ্যটির রফতানি মূল্য বাড়তির দিকে। খরায় উৎপাদন শঙ্কার কারণে দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ড থেকে চালের রফতানি মূল্য এখন সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে।
অন্যদিকে চলমান কভিড-১৯ এর প্রকোপে তৃতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনামেও এখন স্থানীয় পর্যায়ে পণ্যটির চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে সেখানেও চালের রফতানি মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে।
আন্তর্জাতিক বাজারে গেল সপ্তাহে থাইল্যান্ডের বেঞ্চমার্ক ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল রফতানি করেছে প্রতি টন ৪৭০ থেকে ৪৯৫ ডলার মূল্যে, ২০১৩ সালের আগস্টের পর যা সর্বোচ্চ। আগের সপ্তাহেই এই মূল্য ছিল টনপ্রতি ৪৬০ থেকে ৪৬৭ ডলার।
থাই সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে চলতি বছর শুষ্ক মৌসুম বেশ দীর্ঘায়িত হতে পারে। শুষ্ক মৌসুমের মেয়াদ সাধারণত এপ্রিল পর্যন্ত থাকলেও চলতি বছর তা জুন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভিয়েতনামেও চালের রফতানি মূল্য এখন বাড়তির দিকে। ৫ শতাংশ খুদযুক্ত বেঞ্চমার্কে ভিয়েতনাম থেকে পণ্যটির রফতানি মূল্য বৃহস্পতিবার ছিল প্রতি টন ৪০০ থেকে ৪০৫ ডলার, ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ। আগের সপ্তাহেও যার বিক্রয়মূল্য ছিল টনপ্রতি ৩৯০ থেকে ৪০০ ডলার।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস