জয়পুরহাটের আলু এবার মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, থাইল্যান্ড, কুয়েত, নেপাল, আরব আমিরাতসহ রপ্তানি করা হচ্ছে বিশ্বের ১২টি দেশে। প্রতিদিন মাঠ থেকে সংগ্রহ করে বিশেষ প্যাকেটে প্রক্রিয়াজাত করে বাইরে পাঠানো হচ্ছে এসব আলু।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলেন, এবার জেলায় আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সাধারণত আলু বেশি উৎপাদন হয় ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায়। জেলায় এবার আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন ধরা হলেও এটি অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। তাদের ধারণা, আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হবে।
লাভের আশায় কৃষকরা এবার গ্র্যানুলা জাতের আলু চাষ কম করলেও সাদা ডায়মন্ড ও অ্যাস্টেরিকা লাল জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। এ ছাড়া প্যাকরি জাতের গুটি, মিউজিকা ও লেডি রোজেটা জাতের আলুও চাষ হয়েছে এবার। তবে তা পরিমাণে কম। বাজারে আলুর চাহিদা এবং দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক এবার আগাম আলুতেও হয়েছেন লাভবান। আগাম আলু চাষ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় কৃষকরা এবার লাভ করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কৃষকদের লাভের এ সময় স্থায়িত্ব ছিল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। তখন প্রতি মণ অ্যাস্টেরিক অথবা সাদা ডায়মন্ড জাতের আলু বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
সময়ের সাথে সাথে বাজারে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪১০ থেকে ৪২০ টাকা মণ দরে। দাম কমলেও ফলন বেশি হওয়ায় আলু চাষ করে এখনো কৃষকরা প্রতি বিঘায় লাভ করছেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কয়েক বছর পর আলু চাষ করে লাভবান হওয়ায় ভীষণ খুশি এ জেলার আলু চাষিরা।
কৃষকদের মতে, আলু বিদেশে রপ্তানি হওয়ার কারণে চাহিদা এবং দাম বেড়েছে। জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে এবার আলু কিনে বগুড়া অঞ্চলের একাধিক ব্যবসায়ী মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, নেপাল, দুবাইসহ বিশ্বের ১১টি দেশে রপ্তানি করছেন।
কৃষকদের জমি থেকে আলু ক্রয় করার পর নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে আলু বাছাই করে তা নেটের হলুদ প্যাকেটে আট কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট করে বিদেশে পাঠানো হয়। এসব প্যাকেট সহজে লোড-আনলোড করা যায় এছাড়াও বিদেশে আট কেজি ওজনের প্যাকেট সহজে বিক্রি হয়।
আনন্দবাজার/তা.তা