ঠিক সন্ধ্যেবেলায় ঐ যে বুনো কুল গাছটার তলায়
যেখান দিয়ে চলে গিয়েছে একটা ছোট্ট সরু মেঠো পথ,
ঠিক যেখানটায় ডাহুক আর্তনাদ করত,
যার আর্তচিৎকারে বালক বৃদ্ধের হৃদয়ের কোন একটা কোনে হুহু করে ওঠে,
সমস্ত দিন একনাগাড়ে ঝিঝির শব্দে মাতোয়ারা ছিল,
যেখানে প্রত্যহ প্রভাতে দোয়েলের মিষ্টি শিষে মাতোয়ারা হয়ে থাকত
সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে গিয়েছিলাম এক জানা প্রান্তর হয়ে অজানায়।
আজ বহুকাল অতিক্রমনের পর মনে হচ্ছে এই হারিয়ে যাবার অভিপ্রায় আমার ঠিকই ছিল যদি না কোন পিছুটান থাকত।
আজকের এই সন্ধ্যা তিথিতে আমার কেবলই মনে হচ্ছে –
আচ্ছা আমি তো চাঁদের আলোয় অনেক রাত্রি নিজের চোখ ঝলসে নিয়েছি,
সেখানে কোন অপরিমেয় সৌন্দর্যের সুহাসিনীকে প্রত্যক্ষের অভিপ্রায়।
কিন্তু সেখানে ওই কলঙ্কের আঁচড় ব্যতীত অন্য কিছুই দৃষ্টিগোচড় হয়নি।
মেঘের দিকে তাকিয়ে থেকে তীব্রবেগে ধাবমান বাতাসের ঝাপটায় দৃষ্টি করেছি ক্ষীণ,
সেখান থেকে কোন রমনীর এলোকেশ উদ্ধারের অভিপ্রায়।
কিন্তু আমি মেঘকে মেঘ হিসেবেই দেখেছি।
এই যে কোন কিছুরই ভেতরকার সৌন্দর্যকে কল্পনা শক্তি দিয়ে সজীব করে তুলতে না পারার আক্ষেপ আমায় দগ্ধ করেছে আজীবন।
প্রভাতের ঈঙ্গিতকেই শ্রেয় বিবেচনা করে জীবন সাজানোই ছিল মোক্ষ লাভের একমাত্র উপায়।
মোহের আগমনে যে অনিষ্ট হয়েছে গতিপথের সেটা শুধুই নিজের, একান্তই নিজের।
এই মন্দ,নষ্ট, ভ্রষ্ট পথে একাকী আর কত?