রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়স বাড়ার সঙ্গে কমেছে আশুগঞ্জ সারকারখানার উৎপাদন

গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য প্রায়ই বন্ধ থাকে আশুগঞ্জ সারকারখানার সার উৎপাদন। প্রতিদিন ১৬০০ টন উৎপাদন ক্ষমতার এই কারখানাটি এখন বড়জোড় ১১০০-১২০০ টন পর্যন্ত সার উৎপাদন করতেই হিমশিম খাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডটি ৩৯ বছর আগে প্রথম ইউরিয়া সার উৎপাদনের যাত্রা শুরু করে। তবে অধিকাংশ পুরনো যন্ত্রপাতির আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে যাওয়ায় কারণে কারখানার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে বহুলাংশে। কারখানা কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, বছর বছর যন্ত্রাংশ মেরামতের বদলে নতুন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলেই উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি ও বাতাস হচ্ছে ইউরিয়া সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল। আর পানির যোগান দেয়া হয় কারখানা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকেই। উৎপাদিত এসব সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

প্রতি বছরে ৫ লাখ ২৮ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে সারকারখানাটির। যদিও কারখানা চালুর কয়েক বছর এই পরিমাণ সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে উৎপাদনের পরিমাণ। আর উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো আয়ুস্কাল পেরোনো যন্ত্রপাতিতে বারবার ত্রুটি ও গ্যাস সংকট।

আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ৩৯ বছর পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে এখনও কারখানার উৎপাদন চলছে। যদিও আয়ুস্কাল পেরিয়ে যাওয়ায় প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তবে পুরাতন যন্ত্রপাতি বদলে  যদি নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়। তাহলে এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ  চীনে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের পোশাকের বিক্রি

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন