দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও পৌঁছেছে ৩৩০০ কোটি ডলারে। প্রায় আড়াই বছর পর এমনটা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এত পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যনুযায়ী, প্রবাসীরা ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসে। চলতি অর্থবছরের আট মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৪১ কোটি (১০.৪১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। তা আরও বেড়ে ৩৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে উঠে দু’মাসের মধ্যেই। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসে। তার আড়াই বছর পর রবিবার সেই রিজার্ভ ফের ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
অন্যদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। এভাবেই প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আনন্দবাজার/এস.কে