ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাষিদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘প্লাস্টিক ফুল’

বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলেই জমে ওঠে ফুলের বাজার। এ সময় ফুল চাষিরা ও বিক্রিতারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে ফুল বিক্রির জন্য। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্লাস্টিকের ফুল তৈরি হওয়ায় কারণে চাষিদের ফুলের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। এতে করে ফুল চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা।

রাজধানীর চকবাজারে প্লাস্টিকের যেসব চায়না ফুল পাওয়া যায় তা হুবহু দেখতে গাছের ফুলের মতোই। এজন্যই এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাঁচা ফুলের পরির্বতে কৃত্রিম ফুলের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। তাই প্লাস্টিকের ফুল বর্তমানে চাষিদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গোলাপ চাষি আলমগীর জানান, শ্যামপুরে নিজের পাঁচ বিঘা জমিতে ২০০৮ সাল থেকে গোলাপের চাষ শুরু করি। সে সময় বাগানে প্রতিদিন ৬-৭ জন শ্রমিক কাজ করতেন। তখন বছরে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শেষের তিন বছরে পাঁচ বিঘা জমি থেকে এখন দুই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করছি।

তিনি বলেন, ফুল চাষে কয়েক বছর লাভের মুখ দেখলেও গত তিন বছর ধরে লোকসানের গুনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে এখন ২ বিঘা জমিতে কোনো রকম করে গোলাপের চাষ করছি।

গোলাপ গ্রামের বাগনীবাড়ী এলাকার ফুল চাষি ওহিদ বলেন, গেল ৩ বছর আগে ফুলের দাম বেশ ভালো ছিল। তখন ফুল চাষ করে কৃষক অনেক লাভবান হতো। কিন্তু এখন প্লাস্টিকের ফুল বাজারে আসার কারণে, মানুষ এখন আর গাছের ফুল কেনেন না। তাই এখন গাছের ফুলের ভালো দাম পাচ্ছেন না কৃষক।

সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহম্মেদ জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে শুধু মাত্র প্রয়োজন মেটানো যায়, ফুলগুলোর প্রতি ভালোলাগা কাজ করে না। ফুল বলতে মানুষ কাঁচা ফুলকেই বোঝে, যে ফুলে ঘ্রাণ আছে, সৌরভ আছে। তাই কাঁচা ফুলের চাহিদা কখনও কমবে না, বরং বাড়বে। ফুল সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকলে এবং দাম সহনীয় থাকলে কাঁচা ফুলের চাহিদা অবশ্যই বাড়বে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন