ব্যবসায়ীরা কোরবানির চামড়া না কিনলে সংরক্ষণ করা হবে সরকারি গুদামে। গতবছরের কোরবানিতে চামড়া নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্বে বিগত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছায় চামড়ার দাম। এবার সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করতে, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে জোড়েসোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল শিল্প মন্ত্রণালয়ে চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা।
বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদের সুরক্ষা এবং সর্বোচ্চ বেনিফিট নেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোনোভাবেই গত কোরবানি ঈদের মতো আর কখনও এ সম্পদ নষ্ট হতে দেব না। আজকের সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আসন্ন কোরবানি ঈদে পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিল্প, বাণিজ্য, পরিবেশ ও বন, ধর্ম, তথ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে কমিটি।
চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা সময়মত চামড়া না কিনলে তা সংরক্ষণের জন্য সরকারি পর্যায়ে গুদামে ন্যূনতম তিন মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন হলে সাময়িকভাবে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে। এ জন্য সরকারের রফতানি নীতি সংশোধন করার দরকার হলে তাও করা হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস