ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ চাষ বদলে দিয়েছে সাত বন্ধুর জীবন

নিষ্ঠা, সততা ও পরিশ্রমের ফলে অল্প সময়ের মধ্যে মাছ চাষ করে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউপির মহারাজপুর গ্রামের জাকির হোসেন ও তার ছয় বন্ধু। পেয়েছেন উপজেলা পর্যায়ে সেরা মৎস্য চাষি পুরস্কার। এবং এবার আবেদন করেছেন জাতীয় পুরস্কারের জন্যও।

উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও যখন চাকরি পাচ্ছিলেন না তখন স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তারা শুরু করেন মাছ চাষ। ২০১৮ সালে মাত্র দুই লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে পথচলা শুরু করেন তারা। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। তারা এখন নাম লিখিয়েছেন নাটোরের বড় ব্যবসায়ীদের তালিকায়।

তারা জানান, প্রথমে তাদের ৩০ বিঘার তিনটি পুকুর ছিলো। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০০ বিঘার ১৫টি পুকুর রয়েছে। প্রতি বছর তাদের পুকুরে এক হেক্টরে ১২.৯ টন মাছ উৎপাদন হয়। প্রথমে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, শিং, মৃগেল, পাঙাশ, জাপানি, দেশি মাগুর, টেংড়া, চিতলসহ বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করা হয়।

তারা আরো জানায়, প্রতি বছর মার্চ মাসের শুরুতে পোনা ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী ১০ মাস ধরে মাছগুলোকে খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে বড় করা হয়। তারপর ডিসেম্বর মাস থেকে দেশের বিভিন্ন বাজারে ট্রাকে করে মাছগুলো বিক্রি করা হয়।

মাছ চাষ করে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে স্থানীয় বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে। এছাড়া মাছ চাষে তাদের এই সফলতা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি  

সংবাদটি শেয়ার করুন