চার বছর হয়ে গেলেও রিজার্ভ চুরির সোয়া পাঁচশো কোটি টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও ধারণা নেই কবে নাগাদ ফেরত আসবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে রিজার্ভ চুরির টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাক হয় প্রায় ৮শ কোটি টাকা। তারপর ফেরত পাওয়া গেছে ২৮০ কোটি টাকা। ঘটনার চার বছর পরও উদ্ধার হয়নি প্রায় সোয়া পাঁচশো কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা জানায়, চুরি যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা যে প্রক্রিয়াতে হচ্ছে সেভাবে টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভবই না। অর্থ চুরি হয় ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট- পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জানান, যাদের নামে মামলা করা হয়েছে তারা যদি আবার এ ধরনের চুরিতে জড়ান শুধু তাহলেই আদালত মামলাটি আমলে নিবে, নাহলে নিবে না। ১০ বছর না কোনোদিনও চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরত পাওয়া সম্ভব নয় যদি অপরাধীরা আর এমন অপরাধে না জড়ায়।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা যে আশার বাণী শোনাচ্ছে সবাইকে সেগুলো এক প্রকার ফাঁকা বুলি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সবাইকে আশা দিচ্ছে যে, চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। কিন্তু কবে ফেরত পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে ধারণা নেই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও।
আনন্দবাজার/এস.কে