এ বছর মানিকগঞ্জের সিংঙ্গাইর উপজেলায় সময় মত বৃষ্টি হওয়াতে গাজরের ফলন খুব ভাল হয়েছে। গেল বছরের থেকে চলতি বছর দাম বেশি হওয়াতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কিন্তু কৃষকরা চাষে সফল হলেও এর মূল অংশটা নিয়ে যাচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীরা এমনই অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
সিংঙ্গাইর উপজেলার আজিমপুর, ভাকুম, কিটিংচর, খড়ারচর এবং দুর্গাপুর এলাকায় কৃষকরা গাজর চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। আর এই অবস্থা দেখে অন্য কৃষকরাও গাজর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য।
আরও পড়ুন : আবারও বিশ্বের দূষিত নগরীর তালিকায় প্রথমস্থানে ঢাকা
এই ব্যাপারে কৃষক হানিফ আলী জানান, ১২ বিঘা জমিতে আমি গাজরের চাষ করেছি। গাজরের দাম আড়তে বেশি হলেও আমরা তো সে দাম পাই না। স্থানীয় পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে ১৫ টাকা কেজি কিনে আড়তে তা ২৫ টাকা করে বিক্রি করছেন। সরাসরি গাজর নিয়ে আমরা যদি আড়তে বিক্রি করতে পারতাম অথবা আমাদের সিংঙ্গাইরে একটি আড়ত থাকতো তাহলে গাজর বিক্রি করে আমরা বেশি লাভবান হতাম।
স্থানীয় পাইকার আব্দুল সালাম বলেন, নিজের জমিতে আমি চলতি বছর ১১ বিঘা গাজরের চাষ করেছি ও পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের কাছে থেকে গাজর কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আড়তে বিক্রি করে থাকি। এ বছর প্রতি বিঘা গাজরের জমি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা করে কিনেছি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর গাজরের দাম বেশি যার কারণে কৃষকরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে