রাজশাহীকে বলা আমের শহর। ইতোমধ্যে এই শহরের বাগানগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। তবে ভালো মুকুল পাওয়ার জন্য কুয়াশা ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে গাছের যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা। এছাড়াও সময় বুঝে গাছে সার-কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন ফল গবেষকরা।
সবুজের সতেজতা ছড়াচ্ছে খিরসাপাত, ল্যাংড়া, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমগাছে। এদিকে জনপ্রিয় আমের জাতগুলোর সঙ্গে নতুন জাতের গাছে মুকুল আসায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন রাজশাহীর বাগান মালিকরা।
সপ্তাহ জুড়ে রাজশাহীতে কুয়াশা কম থাকায় দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এ জন্য গাছে গাছে ফুটে উঠছে মুকুল। গাছের নতুন ডালে এমন মুকুলের কুঁড়িতে স্বপ্ন বুনছেন এ অঞ্চলের বাগান মালিকরা। গাছ থেকে দীর্ঘ ও উন্নত মানের মুকুল পেতে আগাছা পরিষ্কারসহ মিজ ও হপার পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দেয়া হচ্ছে কীটনাশক।
এক বাগান মালিক বলেন, এখন যে আবহাওয়া রয়েছে তা যদি আরও ১৫ দিন থাকে। তাহলে অল্প দিনের মধ্যে ভালো আমের মুকুল পাওয়া যাবে।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলীম উদ্দিন জানান, মুকুল বের হওয়ার পরই এটিতে স্প্রে দিতে হয়। আম যখন মোটর দানা আকার ধারণ করবে, তখন এটিতে আরেকটি স্প্রে দিতে হবে। এগুলো দিয়ে যদি পুরোপুরি সবগুলো গাছ স্প্রে করা যায় তাহলে পোকা দমন করা যাবে।
আনন্দবাজার/এম.কে