ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে তেজপাতা

ঝিনাইদহেরকালীগঞ্জ উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলা সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নে প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে আবাদ হচ্ছে। চাষী আছে প্রায় ১৮ জন। একটি গাছ থেকে বছরে দুই বার পাতা তোলা যায়। রোগ বালাই তেমন না থাকায় এবং ফসলের তেমন ক্ষতি না থাকায় এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বছরে লাভ করা যায়।

জয়নুদ্দীন খাঁ ১০ বছর আগে খুলনা বেজেরডাঙ্গা থেকে  ১২০টি তেজপাতার চারা নিয়ে ৫০ শতক জমিতে বাগান শুরু করেন। লাভ ভালো হবার কারনে তিনি এখন মোট ১২৩ শতক জমিতে তেজপাতা চাষ করছেন। জয়নুদ্দীন খাঁ জানান, বছরে মাত্র দুই বার সার দিতে হয় তাছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। ছাগল বা গরুতে খাইনা তেজপাতা চুরি হবারও কোনো সম্ভাবনা নেই তাই তিনি এই চাষের দিকেই ঝুকছেন। একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ ৩৫ শতাংশ জমিতে তেজপাতা চাষ করেছেন।

একই অঞ্চলের তেজপাকা চাষি আবুল কালাম আজাদ জানান, তার বাগানে প্রথম বছর ৩মন তেজপাতা উৎপাদন হয়। এর পরের বছর ৯ মন পাতা সংগ্রহ করেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে একই বাগান থেকে২৩মন তেজপাতা তিনি সংগ্রহ করেছেন। আগামী মৌসুমে তিনি ২০মন তেজপাতা পাবেন বলে আশা করছেন।

এলাকার অন্য তেজপাতা চাষীরা জানান, প্রতিকেজি তেজপাতা শুকনা ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচা পাতা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। ৪ বছর বয়সী একটি গাছ থেকে ৩৫-৪০ কেজি পাতা তিনি সংগ্রহ করতে পারছেন। দুই বছর বয়স থেকেই তিনি তেজপাতা সংগ্রহ করছেন।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন