এ বছরের এপ্রিল মাসে নয়-ছয় সুদহার বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৯ শতাংশ ঋণ বিতরণের জন্য নিশ্চিত করতে হবে ৬ শতাংশের আমানত। একইসঙ্গে ভোক্তা ঋণকে সিঙ্গেল ডিজিটের বাইরে রাখার হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।
পাশাপশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের জামানতবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ ঋণেরও বেশি সুদ নিতে চায় তারা। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্যাংকার্স সভায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এসএমই খাতকে সিঙ্গেল ডিজিটের ভেতরে না নিয়ে আনার জন্য ব্যাংকাররা সুপারিশ করে ছিলেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুপারিশ নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার জানায়, এপ্রিল মাস থেকে সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসা হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো আমরা ইতিমধ্যে তুলে ধরেছি।
এবিবির চেয়ারম্যান জানান, দুই শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম থাকার করণে এটি পুরোপুরি ব্যাংকার ও কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে এগুচ্ছে হয়েছে। এছাড়াও এটি করবে কি-না সেটা পুরোপুরি ব্যাংকের বিষয়। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
আনন্দবাজার/এম.কে