ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপাকে দিনাজপুরের আলু চাষিরা

দিনাজপুরে তীব্র ঠাণ্ডায় আগাম জাতের আলুর পচন ও গাছ মরায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এছাড়াও ফলন কম হওয়ায় খরচ উঠা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ওই অঞ্চলের আলু চাষিরা।

এ জেলায় জমি উর্বর হওয়ায় প্রতিবছর আগাম ও নমলা জাতের আলু চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তবে চলতি মৌসুমে আলুর দাম ভাল থাকলেও ফলন কম হওয়ার কারণে লোকসনের আশঙ্কায় রয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় এবার ৪১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৪০ হাজার ৬৪ হেক্টর জমির আলু। কিন্তু কত হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে সেই তথ্য জানাতে পারেনি কৃষি অধিদফতর।

দক্ষিণ কোতোয়ালির কসবা গ্রামের কৃষক শামীম আহমেদ জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি, প্রতি কেজি আলু ১৫ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ এক কেজি আলু ফলাতে ১৫ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।

একই গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানায়, গেল বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে ২২ বস্তা আলু পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর একই জমিতে ১৩ বস্তা আলু পেয়েছি।

জেলার কৃষকদের আভিযোগ, এ বছর বাজার মন্দা থাকার কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা এখানে আসছেন না। যার ফলে এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি করতে হয়। আর ওই দামে আলুর উৎপাদন খরচও উঠছে না, যে কারণে তাদের লোকসন গুনতে হচ্ছে।

আলু ব্যবসায়ী জাকির শিকদার জনান, প্রতি বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলু নিয়ে যাই। কিন্তু এবার তা সম্ভব হয়নি। আরেক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, আলু ক্রয় ও ভ্যান ভাড়াসহ এক কেজি আলুর দাম পড়েছে ২৩ টাকা। আর ২৩ টাকা কেজিতেই বিক্রি করতে হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল জানিয়েছেন, কৃষকরা প্রথমে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলু ওঠায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। আর এ কারণে আলুর দাম কিছুটা কমেছে।

তিনি বলেন, এ বছর আলুর বীজ বেশি দামে ক্রয় করার কারণে কৃষকদের খরচ বেশি হয়েছে। তবে আলুর দামটা আরেকটু বেশি থাকলে কৃষকরা তেমন লোকসানের মুখে পড়ত না।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন