কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ১টি পৌরসভা সহ ০৯টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় নতুন করে ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে করে উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের জন্য একটি সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিনিউটি ক্লিনিকগুলিতে সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্চেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে রোগী সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্চে চিকিৎসকরা। সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্চেন প্রতিদিন। গতকাল কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। ডেঙ্গু রোগী আক্রান্তরা হলেন,পারুল আক্তার (৪৫),ফরিদ মিয়া (৪৫) ও মনির মিয়া(৪০)।
গতকাল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা একটু বেড়ে গিয়েছিল। এ পর্যন্ত ২৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন । বর্তমানে ডেঙ্গ রোগ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মশারি টানিয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীরা আলাদা বেডে শুয়ে আছেন।
কটিয়াদী উপজেলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্চি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে মশা নিধন ও ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি টানাতে হবে। সেইসঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপজেলার হাসপাতালগুলোতে কঠোর সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত এই জেলায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানান।
আনন্দবাজার/শহক