ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্জ লোক্কা রাসমুসেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের ডেনমার্ক দূতাবাসের সামনে যেন পবিত্র কুরআন পোড়ানো না হয় সেজন্য আইন করবে দেশটির সরকার। খবর আল জাজিরা
রোববার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু উগ্র ব্যক্তি কুরআন পুড়িয়েছে, যা ডেনমার্কের সামজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
এই ধরনের ঘটনা রোধে ড্যানিস সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আইনী পথ খুঁজছে। কারণ ডেনমার্ক সবসময় অন্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানায়।
সাম্প্রতিক সময়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক ও সুইডেন।
অন্য এক বিবৃতিতে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুরআন পোড়ানো বন্ধ করতে তারা আইনি উপায় খুঁজছে।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই (পবিত্র কুরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো বন্ধ করতে) আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি… আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুইডেন ও বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করার জন্য এটি করা হচ্ছে।’
চলতি মাসে উগ্র ডানপন্থি গ্রুপ ডেনমার্কের রাজধানীতে অবস্থিত ইরাক, মিশর এবং তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ায়। এছাড়া এ মাসেই সুইডেনে ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা (৩৭) পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়। যা পুরো মুসলিম বিশ্বকে ক্ষেপিয়ে তোলে।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানায়, সৌদি আরব, তুরস্ক, আরব আমিরাত, ইরান, মরোক্ক, কাতার এবং ইয়েমেন।
আনন্দবাজার/শহক