ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আখাউড়া স্থলবন্দর

প্রায় অচল হয়ে যাওয়া আখাউড়া স্থলবন্দর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। বেশ কয়েক বছর যাবদ ভারতীয়ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় এক প্রকার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল এ বন্দরটি। এবার নতুন করে ভোজ্য তেল আর সিমেন্ট রপ্তানির মধ্য দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানো জন্য আশায় বুক বেঁধেছেন স্থলবন্দররে ব্যবসায়ীরা।

১৯৯৪ সালে আখাউড়া স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই প্রচুর পরিমান পণ্য আমদানি করত আগরতলার ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনশ’ পণ্যবোঝাই ট্রাক যেতো আগরতলায়। পণ্যবোঝাই করা এসব ট্রাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল পাথর, সিমেন্ট, মাছ ও প্লাস্টিক।

তবে গেল কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০টি পণ্যবোঝাই ট্রাক আগরতলায় যাচ্ছে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্যে ধ্বস নামার জন্য কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভূঁইয়া জানান, গেল নভেম্বর থেকে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে। এখান থেকে ভোজ্য তেল আর সিমেন্ট বেশি রপ্তানি হচ্ছে। এর পাশাপাশি পাথর ও মাছের চাহিদাও কিছুটা বেড়ে গেছে।

তবে ভারত থেকে এ দেশে যেসব পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে সেগুলোর কোনো চাহিদা নেই। এগুলো আমদানি করে ব্যবসায়ীদের লোসখান হচ্ছে। এ জন্য আমরা চাই নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত চাহিদা সম্পন্ন পণ্যের আমদানির অনুমতি যেন দেওয়া হয়।

স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী ফারুক অ্যান্ড ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী ফারুক মিয়া জানিয়েছেন, ভারত থেকে যদি চাহিদা সম্পন্ন পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে বন্দরটা আগে মতো চাঙ্গা হবে। এতে করে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, বর্তমানে সিমেন্ট আর তেলই বেশি রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে গত কয়েক বছরের তুলনায় রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। আগে মাত্র ৩২টি পণ্য আমদানির অনুমতি ছিল। এখন আবার নতুন করে আরও কয়েকটি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু নতুন এই অনুমতির চিঠি আমরা এখনও পাইনি।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন